সর্বজনস্বীকৃত নিরীক্ষা মান/ Generally Accepted Auditing Standard (GAAS)

 


American institute of certified public accountants (AICPA) কর্তৃক ইস্যূকৃত সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিরীক্ষা মান সংক্রান্ত নীতিগুলোকে তিনটি পযায়ে বিভক্ত করেছেন। যেমনঃ

১. সাধারন মানঃ সাধারন মান সম্পর্কিত নীতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং এগুলো নিরীক্ষকের গুণাবলি সংক্রান্ত নীতিমালা নিম্নরূপ:
ক. পযাপ্ত ব্যবহারিক শিক্ষা ও যথেষ্ট দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে নিরীক্ষার কাজ সম্পাদন করতে হবে।
খ. নিরীক্ষা সংক্রান্ত কায সম্পাদনে নিরীক্ষক কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে সব সময় স্বাধীন মনোভাব গ্রহণ করবেন।
গ. নিরীক্ষা শেষে রিপোর্ট তৈরি করার সময় যথেষ্ট যত্ন ও নৈপুণ্য দেখাবেন। রিপোর্টের ভাষা সহজ সরল হবে যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে।

২. বাস্তব কায সম্পর্কিত মানঃ এক্ষেত্রেও তিনটি নীতির কথা বলা হয়েছে। যেমন:
ক. সুষ্ঠভাবে কাযসম্পাদনের জন্য নিরীক্ষা কর্মসুচি তৈরি করতে হবে। নিরীক্ষার কাজে নিযুক্ত সহকারিদেরকে কাজের ঠিকমত তদারকি করতে হবে। কর্মসুচি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা নিরীক্ষককে দেখতে হবে।
খ. প্রচলিত অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কাযকারিতা বিচার করে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
গ. প্রতিষ্ঠিত আর্থিক বিবরণীগুলো অনুসন্ধানের সাহায্য সব রকম সঠিক প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

৩. প্রতিবেদন সম্পর্কিত মানঃ প্রতিবেদন সম্পর্কিত মানের ক্ষেত্রে চারটি নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন:
ক. হিসাববিজ্ঞানের সাধারণ স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক বিবরনীগুলো উপস্থাপিত ও প্রদর্শিত হয়েছে কিনা তা প্রতিবেদন উল্লেখ করতে হবে।
খ. হিসাবশাস্ত্রের সাধারণ স্বীকৃতি নীতি প্রতি বছর একইভাবে অনুসরণ করা হয়েছে কিনা প্রতিবেদনে তা পযাপ্ত যুক্তিসঙ্গত ও সঠিক বলে মনে করতে হবে।
গ. প্রতিবেদনে অন্যরকম কিছু বলা না থাকলে আর্থিক বিবরণীগুলোতে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো পযাপ্ত যুক্তিসঙ্গত ও সঠিক বলে মনে করতে হবে।
ঘ. প্রতিবেদনে যাবতীয় হিসাব সম্পর্কে নিরীক্ষকের মতামত জানতে হবে। অথবা মতামত না দেয়া হলে তার যথার্থ কারণ উল্লেখ করতে হবে।

উপরোক্ত আদর্শ মানগুলো নিরীক্ষকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আদর্শ মানগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেক পেশাদার নিরীক্ষকের কাজের মধ্যে একই ধরনের বৈশিষ্ট্য দেখা যাবে। এর ফলে বিভিন্ন আর্থিক বিবরণীগুলোকে তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করা সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post