কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী স্বাধীন, নিরপেক্ষ নিরীক্ষক দ্বারা নিরীক্ষা
করে নিলে তা হিসাব তথ্য ব্যবহারকারীদের নিকট অধিক গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠে। এ কারণে যে কোন
প্রতিষ্ঠান নিরীক্ষা ফার্মের সাথে নিরীক্ষক চুক্তি সম্পাদন করে থাকে। সাধারনত আর্থিক
বিবরণী সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করাই নিরীক্ষার উদ্দেশ্য। কিন্তু এই মতামত প্রকাশ করার
জন্য প্রমাণপত্র সংগ্রহ করতে যেয়ে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতকরণের বিভিন্ন ভুল, জালিয়াতি
প্রভৃতি দৃষ্টিগোচর হয়। মক্কেলের অনুরোধে এ সকল ভূল-ত্রুটি, জালিয়াতি রোধে প্রতিরোধমূলক
ব্যবস্থা নেবার ব্যাপারেও পরামর্শ প্রদান করতে হয়। নিম্নে উদ্দেশ্যসমুহ শ্রেণীবিন্যাস
করে উপস্থাপন করা হলোঃ
মুখ্য উদ্দেশ্যঃ একজন নিরীক্ষক কর্তৃক আর্থিক বিবরনীসমুহ নিরীক্ষা করার
উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ আর্থিক বিবরণীসমূহ সকল বাস্তবিক
দিক থেকে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন কাঠামো মেনে তৈরি করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে মতামত প্রকাশ
করা।
গৌণ উদ্দেশ্যঃ নিরীক্ষক তার প্রদত্ত মতামতের সমর্থনে প্রমাণাদি সংগ্রন করে
থাকেন। বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া স্বতন্ত্র বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া, পযাবেক্ষণ, গণনাকরণ, অনুধাবন,
প্রভৃতি প্রয়োজনের মাধ্যমে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম, অসঙ্গতি, জালিয়াতির,
ভুল সন্ধান পান। তাই নিরীক্ষার গৌণ উদ্দেশ্যসমুহ হচ্ছে:
ক. ভুল-ত্রুটি উদঘাটনঃ একজন হিসাবরক্ষক তার জ্ঞানের স্বল্পতা বা তাড়াহুড়া
করার কারণে আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে। এ ভুলের কারণে প্রতিষ্ঠানের
সঠিক আর্থিক অবস্থা প্রদর্শিত হয় না। ফলে ব্যবহারকারীরা ভুল পথে চালিত হয়। তাই নিরীক্ষকের
কর্তব্য হচ্ছে এ ভুলসমুহ সনাক্ত করা।
খ. ভুল-ত্রুটি প্রতিরোধঃ একজন নিরীক্ষকের উচিত তার মক্কেলকে এমন ব্যবস্থা
গ্রহণের সুপারিশ করা যাতে ভুল-ত্রুটি কাম্য পযায়ে নেমে আসে।
গ. জুয়াচুরি সনাক্তকরণঃ যখন ভুল ইচ্ছাকৃতভাবে করে কোন বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের
চেষ্টা করা হয় তখন তাকে জুয়াচুরি বা জালিয়াতি বলে। নিরীক্ষকের উদ্দেশ্য হচ্ছে জালিয়াতি
সনাক্ত করা।
ঘ. জুয়াচুরি প্রতিরোধঃ নিরীক্ষকের দায়িত্ব হচ্ছে যথাযথ অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রন
হচ্ছে ক্রসচেকিং নিয়ন্ত্রন বিন্দু স্থাপনের পরামর্শ দিয়ে জুয়াচুরি প্রতিরোধের ব্যবস্থা
করা।
Post a Comment